প্রকাশিত: ১০/১২/২০১৪ ৯:২৭ অপরাহ্ণ , আপডেট: ১০/১২/২০১৪ ৯:২৯ অপরাহ্ণ
উখিয়ার উপকুল দিয়ে এখন কালামের নেতৃত্বে চলছে মানবপাচার

mail.google.com_13
মাহমুদুল হক বাবুল, উখিয়া ::
কক্সবাজারের উখিয়ার সোনারপাড়া বাদামতলী এলাকার অস্থায়ী এয়ারপোর্ট দিয়ে মানবপাচারের মহোৎসবে পরিণত হয়েছে। জানা যায়, উপজেলার উপকূলীয় জালিয়াপালং ইউনিয়নের অস্থায়ী মানবপাচারের এয়ারপোর্ট বাদামতলী এলাকা রেজু মহুনার্তীর, ঘাটঘর এলাকা, খুনিয়াপালং ইউনিয়নের পেঁচারদ্বীপ এলাকার উমবাগান, থেকে শুরু করে উপকূলীয় সাগর পথের বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে স্থানীয় পুলিশ ও বিজিবিকে ম্যানেজ করে মানরপাচার কাজে জড়িত শীর্ষ গডফাদাররা এ জঘন্যতম পাচার কাজ বেপরোয়া ভাবে চালিয়ে যাচ্ছে। পুলিশ ও বিজিবি মানবপাচার কাজে জড়িত শীর্ষ গডফাদারদের গ্রেপ্তারের গুটি কয়েক অভিযান করলেও পুলিশ বিজিবির হাতে আটক হয় পাচারের যাত্রীরা। ওই যাত্রীদের পুলিশ গ্রেপ্তার করলেও মামলা হয় ছোট খাট দালালদের বিরুদ্ধে। থানা পুলিশের সাথে মানবপাচারের শীর্ষ গডফাদারদের সাথে গভীর সখ্যতা থাকায় তাদের বিরুদ্ধে কোন প্রকার মামলা হয় না। মামলার শিকার হয় এলাকার সাধারণ নিরীহ মানুষ গুলো। সম্প্রতি মানবপাচারের শীর্ষ গডফাদারদের মধ্যে মক্ষী রানী ওরফে ম্যাডাম রেবি জেলা ডিবি পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হওয়ার পর থেকে এলাকার শীর্ষ গডফাদারেরা আতœগোপনে চলে যায়। এরপর থেকে মানবপাচারের কার্যক্রম কিছুটা কমে যায়। সম্প্রতি থানা ওসি অংসা থোয়াই বদলী হওয়ার পর থেকে আতœগোপনে থাকা ওই মানবপাচারের শীর্ষ গডফাদাররা ফের এলাকায় এসে উপকূলীয় অস্থায়ী এয়ারপোর্ট সহ মানবপাচারের বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে পাচার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে বলে এলাকাবাসীর সূত্রে জানা গেছে। এ পাচারকারীদের শীর্ষ গডফাদার জালিয়াপালং ইউনিয়নের চেপটখালী গ্রামের মাষ্টার শরিফ মোহাম্মদের পুত্র আবুল কালাম, মালয়েশিয়া অবস্থানরত ছানা উল্লাহ তার ছোট ভাই থাইল্যান্ডের অবস্থানরত ও থাইল্যান্ডের অস্থায়ী কারাগারের নিয়ন্ত্রক আতিক উল্লাহ, সোনাইছড়ি গ্রামের আবু ছিদ্দিক, একই এলাকার রোস্তম আলী, ম্যাডাম রেবী আক্তারের চেইন অব কমান্ড বুলবুল আক্তারসহ ১০/১২ জনের একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট ঘটন করে। ওই সিন্ডিকেটের গডফাদারেরা নিত্য নতুন কৌশল অবলম্বন করে ছোট ছোট মাছ ধরার নৌকা দিয়ে ৪/৫ জন করে অস্থায়ী এয়ারপোর্ট এলাকা, রেজু মহুনাতীর, পেঁচারদ্বীপের ওমবাগান থেকে মাছ ধরার নৌকায় সুকৌশলে ৪/৫ জন করে মানবপাচারে নিয়োজিত ছানা উল্লাহর শিপে তুলে দেয় বলে জানা গেছে। ওই চিফবর্তী লোকজন গুলো থাইল্যান্ডের সীমানায় পৌঁছলে থাইল্যান্ডের অস্থায়ী কারাগারের নিয়ন্ত্রক মানবপাচারের শীর্ষ গডফাদার ছানা উল্লাহর ছোট ভাই আতিক উল্লাহ তাদেরকে বুঝে নিয়ে তার অস্থায়ী কারাগারে নিয়ে গিয়ে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালিয়ে দেশের শীর্ষ গডফাদার ছেপটখালীর শরিফ মোহাম্মদের পুত্র আবুল কালামের সাথে থাইল্যান্ডের ওই নির্যাতিত লোকজনের স্বজনদের কাছ থেকে বিকাশের মাধ্যমে জনপ্রতি আড়াই লক্ষ থেকে তিন লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়ার পর তাদেরকে কারাগার নিয়ন্ত্রক আতিক উল্লাহর বড় ভাই মালয়েশিয়ার অবস্থানরত ছানা উল্লাহর কাছে হস্তান্তর করা হয়। এব্যাপারে থানার ওসি জহিরুল ইসলাম খান বলেন, মানবপাচারকারীদের বিরুদ্ধে অতীতে মামলা হয়েছে, অভিযোগ ফেলে অন্য গডফাদারদেরকে গ্রেপ্তার করে কঠোর হস্তে দমন করা হবে।

পাঠকের মতামত

সফরে বিনোদনের পাশাপাশি জীব-বৈচিত্র্য সম্পর্কে জানার সুযোগ পেয়েছে উখিয়া কলেজ শিক্ষার্থীরা

সফরে বিনোদনের পাশাপাশি জীব-বৈচিত্র্য সম্পর্কে জানার সুযোগ পেয়েছে উখিয়া কলেজ শিক্ষার্থীরা

পলাশ বড়ুয়া:: উখিয়া কলেজের বার্ষিক শিক্ষা সফর-২০২৫ সম্পন্ন হয়েছে আজ। নানা কর্মসূচির মধ্যে দিয়ে প্রায় ...